পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
ভূমিকা ঃ
আমরা জন্মগ্রহণ করি পরিবেশে এবং বেড়ে উঠি পরিবেশের মধ্যে। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন । এর পাশাপাশি দরকার বিশুদ্ধ বাতাস, জল ,গাছপালা ইত্যাদি - এককথায় সুস্থ বা বিশুদ্ধ পরিবেশ। কিন্তু বর্তমানে নানা কারণে পরিবেশের দূষণ ঘটছে ; যা মানব সভ্যতা কে ধ্বংসের মুখোমুখি করেছে।
দূষণের কারণ ও প্রভাব ঃ
মানুষের ভুল কাজের ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। গ্রামে পানীয় জলের পুকুরে বাসন মাজা কাপড় কাচা এমনকি গবাদিপশুকে স্নান করানো হয়ে থাকে । চাষে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে।
শহরে গাড়ির ধোঁয়া , কলকারখানার ধোঁয়া এবং বর্জ্য পদার্থ পরিবেশকে নোংরা করে। মহাশূন্যে রকেট উৎক্ষেপণ ও তার প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশ দূষিত হয়। এর পাশাপাশি গ্রামে এবং শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে চলেছে। গাড়ির হর্ন এবং তীব্র শব্দে মাইক বাজানোর ফলেও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এর সঙ্গে ব্যাপকভাবে বনভূমি নিধন হচ্ছে। ফলে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড । এসবেরই প্রভাব হলো পরিবেশ দূষণ।
প্রতিকার ঃ
পরিবেশ দূষণ রোধে প্রথম কাজ হলো বৃক্ষরোপণ ও তার সংরক্ষণ এর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।কলকারখানার বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। জলাশয় গুলি যাতে বিপন্ন না হয় তা দেখতে হবে। অতিরিক্ত শব্দের ব্যবহার কমাতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার একেবারেই বন্ধ করতে হবে। জল অপচয় রোধ করতে হবে।
উপসংহার ঃ
পরিবেশকে দূষিত করে মানুষ নিজেই নিজের ধ্বংসের বীজ বুনছে । তাই মানব সভ্যতা কে রক্ষা করবার জন্য মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় মানুষ নিজেই নিজের ধ্বংসের জন্য দায়ী থাকবে।

0 Comments